মুদ্রাস্ফীতি কি বা কাকে বলে? মুদ্রাস্ফীতির কারণ ও ফলাফল

মুদ্রাস্ফীতি কি বা কাকে বলে: যখন অধিক পরিমাণ অর্থ অপেক্ষাকৃত স্বল্প পরিমাণ দ্রব্য সামগ্রীর দিকে ধাওয়া করে তখন মুদ্রাস্ফীতি ঘটে। আজকের এই আর্টিকেল এ আমরা মুদ্রাস্ফীতি- র গুরুত্ব আরোপ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবো।

আমরা জানাবো, মুদ্রাস্ফীতি কি বা কাকে বলে? মুদ্রাস্ফীতির প্রকারভেদ, মুদ্রাস্ফীতির কারণ ও ফলাফল, মুদ্রাস্ফীতির নিয়ন্ত্রণের উপায়, মুদ্রাস্ফীতি ও মূল্যস্ফীতির পার্থক্য, মুদ্রাস্ফীতি কিভাবে পরিমাপ করা যায়? প্রভৃতি বিষয়ে বিস্তারিত জানাবো।

তাহলে চলুন প্রথমে জেনে নেওয়া যাক মুদ্রাস্ফীতি কি বা কাকে বলে।

মুদ্রাস্ফীতি কি বা কাকে বলে?

অধ্যাপক গ্রেগরি বলেন, ক্রয় ক্ষমতার অস্বাভাবিক বৃদ্ধিকে মুদ্রাস্ফীতি বলা হয়। আসলে সংক্ষেপে বলা যায় যে, টাকার ক্রয় ক্ষমতা কমে যাওয়াকে মুদ্রাস্ফীতি বলা হয়।

সহজ ভাষায় মুদ্রাস্ফীতি বলতে বোঝায় দ্রব্য সামগ্রী এবং পরিষেবা মূল বৃদ্ধি। তবে শুধুমাত্র একটি বা দুটি সামান্য কয়েকটি দ্রব্য বা পরিসেবায় যদি মূল্য বৃদ্ধি হয় তবে তাকে মুদ্রাস্ফীতি বলা যাবে না। সামগ্রিকভাবে জিনিসপত্র এবং পরিষেবার মূল বৃদ্ধি হলে তবেই বলা যাবে যে মুদ্রাস্ফীতির অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

মুদ্রাস্ফীতিকে অন্য এক রকম ভাবে ও ব্যাখ্যা করা যায় যদি কোনও মুদ্রার ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পায়, তাহলে সেই অবস্থাকেও মুদ্রাস্ফীতি বলা চলে। যেমন – ২০১২ সালে ১ কেজি চালের দাম ছিল ২৫ টাকা অথচ ২০২২ সালে সেই চালের দাম হল ১ কেজি ৫০ টাকা। অর্থাৎ, ২০১২ সালে ২৫ টাকায় যে পরিমাণ দ্রব্য পাওয়া যেত আজ ২০২২ সালে ওই একই টাকায় তার চেয়ে কম পরিমাণ দ্রব্য পাওয়া যায়। এর অর্থ হল, মুদ্রার ক্ষমতা বা তার মূল্যের অবনমন হয়েছে। যার ফলস্বরূপ মুদ্রাস্ফীতির অবস্থা তৈরি পেয়েছে।

মুদ্রাস্ফীতির কারণ কী?

মুদ্রাস্ফীতি প্রধানত দুটি কারণে হয়ে থাকে। যথা – (১) চাহিদা জনিত কারণ এবং (২) মূল্যজনিত কারণ।

(১) চাহিদা জনিত কারণ: যখন কোন পণ্যের চাহিদা গ্রাহকের কাছ থেকে বাড়ে তখন “চাহিদা জনিত কারণে” মূল্যবৃদ্ধি ঘটে। অন্যদিকে,

(২) মূল্যজনিত কারণ: পন্যের সরবরাহ ব্যয় বেড়ে গেলে মূল্যজনিত মূল্য বৃদ্ধি হয়, যখন মানুষের হাতে অতিরিক্ত অর্থ চলে আসে এবং এর ফলে তার চাহিদা বৃদ্ধি পায়। তখন মূল্যজনিত কারণ ঘটে।

মুদ্রাস্ফীতির পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার বিভিন্ন রকমের কারণ আছে। মুদ্রাস্ফীতির পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় এই সকল কারণগুলিকে আবার মুদ্রাস্ফীতির প্রকারভেদ বলা যায়।

মুদ্রাস্ফীতির প্রকারগুলি এবং কারণগুলি নিচে আলোচনা করা হলো।

মুদ্রাস্ফীতি কত প্রকার ও কী কী?

(১) চাহিদা বৃদ্ধি জনিত মুদ্রাস্ফীতি:

(i) এক্ষেত্রে যদি কোন দেশে পণ্য ও পরিসেবার সুবিধা নেওয়ার চাহিদা বৃদ্ধি পায় অথচ সেই অনুপাতে জণ্যের উৎপাদন বা পরিষেবা উপলব্ধ না থাকে তাহলে যেটুকু পণ্য ও পরিসেবা উপলব্ধ আছে। তার মূল্য বৃদ্ধি হয় এবং মুদ্রাস্ফীতির অবস্থা তৈরি হয়।

(ii) আমরা জানি, যদি কোন জিনিস খুব স্বল্প পরিমাণে উপলব্ধ অথচ তার চাহিদা বেশি তাহলে অর্থনীতির স্বাভাবিক নিয়মেই সেই দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি হবে। এই ধরনের মুদ্রাস্ফীতির অবস্থা তৈরি হতে পারে। যদি সরকার আয় কর কমিয়ে দেয়, বা সুদের হার হ্রাস করে অথবা কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি হয়।

(২) মূল্যবৃদ্ধি জনিত মুদ্রাস্ফীতি: এক্ষেত্রে যদি কাঁচামাল অথবা সেই পন্য বা পরিষেবা যার উপর কোন দেশের অর্থনীতির প্রবলভাবে নির্ভরশীল তার মূল্যবৃদ্ধি হয় তবে মুদ্রাস্ফীতির পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। যেমন – ধরা যাক কোন দেশে পেট্রোল বা ডিজেলের দাম বৃদ্ধি হল, এখন যে কোন খাদ্যদ্রব্য হোক বা বিলাসবহুল দ্রব্য হোক সবই শেষমেষ যানবাহনের মাধ্যমে গ্রাহকের কাছে পৌঁছায়, আবার যানবাহন চলে পেট্রোল বা ডিজেল। ফলত, স্বাভাবিকভাবেই পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়লে অন্যান্য জিনিস সেটা মূল্য বৃদ্ধি হবে, কারণ তখন গ্রাহক অবধি দ্রব্য পৌঁছাতে পরিবহনের জন্য অতিরিক্ত খরচ বহন করতে হবে। আবার, এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে যদি শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি করতে হয় বা সরকার কর বৃদ্ধি করে।

(৩) সরকারি পদক্ষেপ:

(i) মুদ্রানীতি: অনেক সময় দেশের সরকার বিভিন্ন কারণে বেশি করে মুদ্রা ছাপাতে শুরু করে। ফলত, বাজারে মুদ্রার আধিক্য দেখা যায় অথচ জিনিসপত্রের যোগান বৃদ্ধি না হওয়ায় দরুন দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি হয়।

(ii) রাজস্ব নীতি: বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে খরচ করার জন্য সরকার ঋণ নেই এবং সেই মুদ্রা ও দেশের বাজারে আসে অথচ অন্যদিকে পণ্যের যোগানে বৃদ্ধি না হওয়ার দরুন মূল্য বৃদ্ধির অবস্থা তৈরি হয়।

মুদ্রাস্ফীতির ফলাফল

(১) ঋণদাতা এবং ঋণগ্রহীতার ওপর মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব: মুদ্রাস্ফীতির অবস্থায় ঋণদাতার ক্ষতি হয় এবং অন্যদিকে ঋণগ্রহীতা লাভবান হন। এই ব্যাপারটি একটি উদাহরণের সাহায্যে বোঝা যাক।

ধরা যাক ২ বছর আগে তপন অনিস কে ১০০ টাকা ধার দিয়েছিল। এখন মুদ্রাস্ফীতির (ধরা যাক হার ১০০%) দরুন তৎকালীন সেই ১০০ টাকার মূল্য কমে হয়েছে ৯০ টাকা অর্থাৎ তপন যখন অনিস কে টাকা ফেরত দিল তার মূল্য বর্তমানে ৯০ টাকার সমান। এইভাবে মুদ্রাস্ফীতিতে ঋণদাতার ক্ষতি হয়। এবং অন্যদিকে ঋণগ্রহীতার লাভবান হন।

(২) চাহিদা বৃদ্ধি: মুদ্রাস্ফীতির ফলে জিনিসপত্রের চাহিদা বৃদ্ধি পায়, ফলত আরো বেশি করে পণ্য উৎপাদিত হতে থাকে।

(৩) খরচ- এর উপর প্রভাব: মুদ্রাস্ফীতির ফলে জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। এমত অবস্থায় সাধারণ মানুষ খরচে কাটতি করেন। অনেকেই এই পরিস্থিতি অপরিহার্য নয় এমন দ্রব্যে খরচ কমিয়ে দেন।

(৪) আয়ের উপর প্রভাব: মুদ্রাস্ফীতির ফলে নামমাত্র আয় বৃদ্ধি হয় যদিও আসল আয়ের কোন বদল হয় না। কারণ মুদ্রাস্ফীতির জন্য মুদ্রার ক্রয় ক্ষমতা হ্রাস পায়।

(৫) রপ্তানির উপর প্রভাব: মুদ্রাস্ফীতির ফলে সেই দেশে উৎপন্ন পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি পায়, কারণ মুদ্রাস্ফীতির ফলে মুদ্রার মূল্য কমে যায়। উদাহরণস্বরূপ ধরা যাক, মুদ্রাস্ফীতির পূর্বে আমেরিকার কোম্পানি P ভারত থেকে ১০০ ডলারের জিনিস ক্রয় করত, কিন্তু এখন মুদ্রাস্ফীতির ফলে ওই ১০০ ডলারেই কোম্পানি P আরও বেশি পরিমাণ দ্রব্য কিনতে পারবে। এর ফলে রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে কিন্তু রপ্তানির মূল্যের কোন বদল হবে না।

(৬) আমদানির উপর প্রভাব: মুদ্রাস্ফীতির ফলে অন্য দেশ থেকে আমদানির পরিমাণ কমে যায়, এর কারণ খুব সহজ। মুদ্রাস্ফীতির ফলে সেই দেশের মুদ্রার মূল্য কমে যায় ফলে বিদেশী জিনিসগুলি কিনতে আরো বেশি অর্থ খরচ করতে হয়।

(৭) কর্মসংস্থানের ওপর প্রভাব: মুদ্রাস্ফীতির ফলে কর্মসংস্থান সাময়িকভাবে বৃদ্ধি পায়। এর কারণ মুদ্রাস্ফীতির ফলে জিনিসপত্রের চাহিদা বৃদ্ধি পায় এবং এর ফলে কারখানাগুলি আরো বেশি দ্রব্য উৎপাদন করে বেশি মুনাফা কামাতে চাই। এবং এর জন্য তারা আরও বেশি কর্মচারী নিয়োগ করে। সম্ভবত এর ফলে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পায়, যদিও এই বৃদ্ধির স্বল্পকালীন মেয়াদের জন্য। দীর্ঘকালীন মেয়াদে কর্মসংস্থানে কোন প্রভাব পড়ে না বা কর্মসংস্থানের হার কমে যায়।

মুদ্রাস্ফীতি কিভাবে পরিমাপ করা হয়?

মুদ্রাস্ফীতি পরিমাপের জন্য বিভিন্ন ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতি চালু আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে প্রচলিত পদ্ধতি গুলি হল – Wholesale Price Index এবং Consumer Price Index এর মাধ্যমে মুদ্রাস্ফীতি নির্ণয়।

  • Whole Price Index: এই ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে বিভিন্ন জিনিসপত্রের পাইকারি দামের পরিবর্তন হিসেব করা হয়। এই পদ্ধতিতে জিনিসপত্র গুলিকে মূলত তিনটিতে ভাগে ভাগ করা হয়। যথা – মুখ্য বস্তু, জ্বালানি, এবং বিদ্যুৎ ও শিল্পজাত দ্রব্য।
  • Consumer Price Index: এই ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে বিভিন্ন জিনিসপত্রের বাজারদরের পরিবর্তন হিসেবে করা হয়। এই পদ্ধতিতে জিনিসপত্র গুলিকে মূলত ছয়টি ভাগে ভাগ করা হয়। যথা – খাদ্য ও পানীয় সামগ্রী, নেশাজাত দ্রব্য, পরিধানের দ্রব্য, আবাস, বিদ্যুৎ, এবং অন্যান্য।

মুদ্রাস্ফীতির হার নির্ণয়: মুদ্রাস্ফীতির হার নির্ণয় করতে প্রথমে একটি ভিত্তি বছর স্থির করা হয় এবং তারপর প্রতিবছর তার আগের বছরের সাপেক্ষে মুদ্রাস্ফীতির হার হিসেবে করা হয়। 

ব্যাপারটি একটি উদাহরণের সাহায্যে বোঝানো যাক,

ভারতে বর্তমানে CPI এর সাহায্যে মুদ্রাস্ফীতি নির্ণয়ের জন্য ২০১২ কে ভিত্তি বছর ধরা হয়েছে। এবার ধরা যাক, মে, ২০২২ এর মুদ্রাস্ফীতির হার নির্ণয় করতে হবে, সেক্ষেত্রে খাদ্য পানীয় সামগ্রী, নেশাজাত দ্রব্য, পরিধানের দ্রব্য, আবাস, বিদ্যুৎ এবং অন্যান্য এসব জিনিসগুলির দামে মে ২০২১ এর সাপেক্ষে যে পরিবর্তন হয়েছে তা হিসাব করতে হবে। ধরা যাক, ওই সব জিনিসে মোট টেন 10% হারের দাম বৃদ্ধি হয়েছে। তাহলে বলতে হবে যে মুদ্রাস্ফীতির হার 10%।

মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের উপায় কি?

মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য মূলত দুই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে – (১) মুদ্রানীতিজনিত পদক্ষেপ, (২) রাজস্বনীতিজনিত পদক্ষেপ।

মুদ্রানীতি জনিত পদক্ষেপ: এই পদক্ষেপে মুদ্রাস্ফীতির ফলে কোন দেশের বাজারে যে অতিরিক্ত টাকা এসেছে তা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য দেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার বৃদ্ধি করে এবং এর ফলস্বরূপ অন্য ব্যাংকগুলিকে সুদের হার বাড়িয়ে দেয়। সুদের হার বাড়িয়ে দিলে দেশের নাগরিকরা সহজে ঋণ নিতে পারে না। ফলে বাজারে যে অতিরিক্ত টাকা এসেছিল তা ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

রাজস্বনীতিজনিত পদক্ষেপ:

(১) কর বৃদ্ধি: এক্ষেত্রে মুদ্রাস্ফীতি রুখতে দেশের সরকার কর বাড়িয়ে দেয়, এর ফলে মুদ্রাস্ফীতির তরুন বাজারে আসা অতিরিক্ত টাকা বাজার থেকে নিষ্কাশিত হয়।

(২) খরচ হ্রাস: এক্ষেত্রে মুদ্রাস্ফীতির রুখতে দেশের সরকার বিভিন্ন খাতে খরচ কম করে দেয়।

টাকা ছাপিয়ে কি মুদ্রাস্ফীতি রোধ করা যায়?

টাকা ছাপিয়ে কোনভাবেই মুদ্রাস্ফীতি রোধ করা সম্ভব নয়। কারণ সে ক্ষেত্রে বাজারে আরও বেশি করে টাকা চলে আসবে অথচ জিনিসপত্রের যোগান প্রায় একই থাকবে। এই একই থাকার দরুন বাজারে উপস্থিত থাকার টাকা তার মূল্য হারাবে এবং ক্রমাগত মুদ্রাস্ফীতির হার বাড়তে বাড়তে তা অতি মুদ্রাস্ফীতির রূপ নেবে।

মুদ্রাস্ফীতি ও মূল্যস্ফীতির মধ্যে পার্থক্য

মুদ্রাস্ফীতি: মুদ্রাস্ফীতি বলতে অর্থনীতিতে মুদ্রার সরবরাহ বৃদ্ধিকে বোঝানো হয়। অর্থনীতিতে মুদ্রার সরবরাহ বেড়ে গেলে এবং পণ্য ও সেবার সরবরাহ অপরিবর্তিত থাকলে মুদ্রাস্ফীতি ঘটে। কারণ অনেক বেশি টাকা সীমিত পণ্য ও সেবার পেছনে ধাওয়া করে। এতে চাহিদা ও মূল্যস্তর দুটিই বেড়ে যায়। শাস্ত্রীয় ও অভিধানিক অর্থেও মুদ্রাস্ফীতির অর্থ  সবধরনের পণ্য ও সেবামূল্যের ক্রমাগত বৃদ্ধি যা সাধারনত ঘটে অতিরিক্ত মুদ্রার সরবরাহের কারণে। যাতে অর্থের মূল্য হ্রাস পায়। “যখন দেশে মোট মুদ্রার যোগান চাহিদার তুলনায় বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়ে পণ্যসামগ্রীর দাম বৃদ্ধি করে তখন মুদ্রাস্ফীতি ঘটে”।

মূল্যস্ফীতি: সাধারণ মূল্যস্ফীতি বলতে বোঝায় সাধারণত একটি নির্দিষ্ট সময়ে কোন দেশের দ্রব্য বা সেবার মূলের স্থায়ী একটা ঊর্ধ্বগতি বোঝায়, সাধারণভাবেই মানুষ নিত্যদিন যে দ্রব্যের প্রয়োজন বোধ করে তার দাম নিয়েই তার চিন্তা থাকে। আর তাই মূল্যস্ফীতি মানে অর্থনীতির সব দ্রব্যের দামের পরিবর্তনকেই বোঝায় না বরং জনগণের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের একটি গুচ্ছের গড় দাম একটি নির্দিষ্ট সময় কতটুকু পরিবর্তন হল তাই নির্দেশ করে। এই সময় হতে পারে প্রতিদিনের ভিত্তিতে, মাসিক ভিত্তিতে, ত্রিমাসিক ভিত্তিতে।

আশা করছি উপরের দেওয়া মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য যথাযথভাবে দিতে পেরেছি। যদি কোন প্রশ্ন থাকে, আপনারা নিচে কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন।

AnswerChamp সাইটটি প্রতিদিন ফলো করবেন। এই ধরনের সুন্দর সুন্দর তথ্য বাংলায় পাওয়া জন্য। ধন্যবাদ।।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Balancing Financial Goals with Personal Happiness and Well-Being The Importance of Emergency Funds and How to Build One on a Budget 10 Tips on How to Plan and Enjoy Affordable Vacations and Travel Experiences 10 Thrifty Shopping Tips for Clothing, Furniture, and other Essentials 10 Strategies for Reducing Debt and Improving Credit Scores 10 Benefits of Living a Frugal Lifestyle 10 Creative Ideas for Budget-Friendly Meals and Recipes 10 Ways to cut Costs on Utilities and other Household Bills 10 Tips for Saving Money on Groceries and Household Expenses 10 Tips on How to Create a Budget Plan That Works for You